পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস আয় বাড়াতে পারলেও লভ্যাংশ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের মতোই এবারও শেয়ার ১০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বুধবার রানারের পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।
কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়েছে। গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা ১৬ পয়সা, গত বছরের জুনে যা ছিল ৬৩ টাকা ৩৯ পয়সা।
২০১৯ সালে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির আয় ও লভ্যাংশ কখনও বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
প্রথম বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকার পাশাপাশি ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি বোনাস হিসেবে দেয়া হয়। পরের বছর লভ্যাংশ আসে ১ টাকা।
কোম্পানিটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৭ টাকা করে শেয়ার বিক্রি করেছে। লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে লভ্যাংশ আশানুরূপ না হওয়ায় দাম কমে আসে।
এক পর্যায়ে শেয়ার দর ৪০ টাকার নিচে নেমে যায়। গত দেড় বছরে পুঁজিবাজারে উত্থানের পর অবশ্য শেয়ারদর কিছুটা বাড়ে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা, যা এর ইস্যুমূল্যের বেশি নিচে।
এবার কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২১ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।