প্রায় তিনশ টাকা শেয়ারদরের প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার পাবেন।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের বছর আয় হয়েছিল ৪৪ পয়সা।
কোম্পানিটির আয় সামান্য বাড়লেও সম্পদমূল্য আবার কিছুটা কমেছে। গত ৩০ জুন শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সার। আগের বছর একই সময়ে এই সম্পদ ছিল ৭৬ টাকা ৭৯ পয়সা।
সম্পদমূল্য ও আয়ের বিবেচনায় এই কোম্পানির শেয়ারদর বরাবরই থাকে বেশি। ৪ কোটি ৯০ লাখ ৩ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ২ হাজার ৫৩০টি। এর মধ্যে ৩১.৮৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকরা ধারণ করে আছেন। ফলে ৩৪ লাখ শেয়ার বাজারে বিনিময়যোগ্য।
শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় এর দাম বেশি বলে ধারণা করা হয়। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ২৮৩ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে এই দর ১৭৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৪৮ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর এত বেশি হলেও এর লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশই দিতে পারেনি। ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা, পরের বছর ৭৫ পয়সা এবং ২০২০ সালে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়।
এবার কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ১৮ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।