পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি দুলামিয়া কটন লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। বিনিয়োগকারীদেরকে আবারও কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বুধবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর এই লোকসান ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
কোম্পানিটির আয় ও আর্থিক অবস্থার সঙ্গে এর শেয়ার দরের কোনো সামঞ্জন্যই নেই। ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির কখনও লভ্যাংশ দেয়ার তথ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে নেই।
বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে আসা এই কোম্পানিটির শেয়ারের বিপরীতে কোনো সম্পদ নেই, আছে দায়। লোকসানের কারণে বছর বছর এই দায় বাড়ছে।
২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি দায় ছিল ২৪ টাকা ৭১ পয়সা। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ২৬ টাকা ২৫ পয়সা।
এমন একটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণ না থাকলেও দুলামিয়াকে ব্যতিক্রমই বলা যায়। প্রায়ই কোম্পানিটির শেয়ারদর পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। গত ২ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ছিল ১০৮ টাকা ২০ পয়সা।
গত এক বছর শেয়ার দর ৩৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৮৩ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম ছিল ৫০ টাকা ১০ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করেছে আগামী ২১ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।