পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে লভ্যাংশ কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার কথা জানিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা ৬০ পয়সা করে।
গত বছর কোম্পানিটির আয় ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। এবার আয় কিছুটা বেড়েছে। তবে করোনা আসার আগের বছর ২০১৯ সালের তুলনায় তা বেশ কম।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত রহিম শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৭৫ পয়সা।
এক বছরে আয় তিন গুণ হয়ে গেলেও তা এর আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ কম। ২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৯২ পয়সা, পরের বছর ৬ টাকা ৬১ পয়সা, ২০১৮ সালে ৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা আয় করতে পেরেছিল।
২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি আগের বছর নগদ ২ টাকার পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ২০১৮ সালেও সমপরিমাণ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি দেড় টাকার পাশাপাশি বোনাস শেয়ার দেয়া হয় ১৫ শতাংশ আর ২০১৬ সালে বোনাস শেয়ার দেয়া হয় ৪০ শতাংশ। ২০১৫ সালেও একই হারে বোনাস শেয়ার দেয়া হয়।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য সামান্য বেড়েছে। ২০২০ সালের জুন শেষে একেকটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৩৬ টাকা ৮৫ পয়সার। এবার তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৩৭ টাকা ৯৯ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ১৮ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।
৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে শেয়ার সংখ্যা ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩টি। শেয়ার সংখ্যা কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ারদর নিয়ে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটে।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২২০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দর ছিল ২৭২ টাকা ৬০ পয়সা।