বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি চাকরিতে আগের কোটা চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৩০

প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মকে সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখা সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম ’৭১-এর যুগ্ম মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী।

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ পুনর্বহাল চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।

বুধবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই কোটা বরাদ্দের দাবি জানান তারা।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুজিব নগর সরকারের গার্ড অফ অনার প্রদানকারী ও মুক্তিযুদ্ধের ৮ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম (এসপি মাহবুব)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম ’৭১-এর যুগ্ম মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ মিয়া, ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা এবং প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা বাতিল করা মোটেই সমীচীন হয়নি। সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার প্রত্যাশায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। সেই সুন্দর সমাজ এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। দেশে এখন ধর্মীয় সম্প্রীতির বড়ই অভাব। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’

আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা দিতে না পারা। জাতির জনকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। অথচ দেশ স্বাধীনের পর আমরা তাকেই রক্ষা করতে পারিনি।’

তিনি প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মকে সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে সম্প্রীতির শোভাযাত্রা সংসদ ভবন দক্ষিণ প্লাজা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ধানমন্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংগঠনটির নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ও শপথ বাক্য পাঠ করেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি তার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে কেক কেটে দিবস উদযাপন শুরু করেন।

এ বিভাগের আরো খবর