মোবাইল সেবার সবশেষ প্রযুক্তি ফাইভজি পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর থেকেই চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সচিবালয়ে বুধবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা এতদিন প্রযুক্তিতে শুধু পিছিয়েই ছিলাম না, সবাই শেষ করে ফেলার পর আমরা শুরু করেছি। সেখান থেকে আমরা বড় একটি জাম্প করতে চাই। সেটি হচ্ছে, পৃথিবীতে এখন মোবাইল ফোনের পঞ্চম পর্যায়ের প্রযুক্তি চলে এসেছে, এটাকে আমরা ফাইভজি বলি। ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষেই আমরা ফাইভজি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করব।
‘এর জন্য যে প্রস্তুতি, সেটি নেয়া হয়েছে। আমাদের টেলিটক এরই মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি সাইট, এটা বাড়তেও পারে। ২০২২ সালে আমরা সম্প্রসারণ করব। প্রথম কোয়ার্টারে আমরা একটি স্পেকট্রাম অকশন করব। আশা করব, আমাদের সব অপারেটর ২০২২ সাল থেকেই এই ফাইভজি প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ফাইভজি কোনো সাধারণ প্রযুক্তি না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তার সঙ্গে যে প্রযুক্তিগুলো রয়েছে এর মহাসড়ক ফাইভজি। আমরা এটি অনুধাবন করেছি, ফোরজির যে নেটওয়ার্ক রয়েছে এটি সাধারণ মানুষের ভয়েস কল এবং ইন্টারনেটের সাধারণ চাহিদা পূরন করবে। কিন্তু আমরা কল-কারখানা শিল্পে যদি ফাইভজি দিতে পারি, তাহলে সেটি হবে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী জানান, দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোয় ফাইভজি সম্প্রসারণ করা হতে পারে। বিটিসিএল এই অঞ্চলগুলোতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।
কল ড্রপ বা নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করতে কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকেরই অনেক অভিযোগ আছে। নেটওয়ার্কে সমস্যা হয়, কল কেটে যায়, কল ড্রপ হয়, কিছু সমস্যা আছে। ভেবে দেখবেন, আমরা যে সম্প্রসারণ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করছি, সেগুলোতে রাতারাতি বিপ্লব কঠিন কাজ।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আমরা টুজি যুগে প্রবেশ করি। ২০১৩ সালে থ্রিজির যুগে, আর ২০১৮ সালে ফোরজি যুগে। এরপর আমরা মাত্র বছর খানেক সময় পেয়েছি কাজ করার। আমরা যদি মোবাইলের ন্যুনতম সেবা পেতে চাই, ভয়েস কল এখন আর কেবল চাহিদা নয়। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে স্যোসাল মিডিয়া– সব কিছুর ক্ষেত্রেই ৯৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন মোবাইল নির্ভর।
‘এর জন্য সবচেয়ে বড় যে প্রযুক্তিটি প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে অন্তত ফোরজি থাকতে হবে। করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে সবগুলো অপারেটরের টাওয়ারে আমরা ফোরজি সম্প্রসারণ করতে পেরেছি। যান্ত্রিক কিছু অসুবিধা এখনও রয়ে গেছে। এ কারণে কলড্রপ বা নেটওয়ার্ক না পাওয়া যাওয়ার সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। আরেকটু সময় পেলে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব।’