বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোন পথে মাদক আসে ভারতকে জানাল বাংলাদেশ

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ২০:১৪

আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  আমরা তাদের কিছু তথ্য দিয়েছি। তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত থাকায় উভয়দেশের আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে।  আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দুই দেশকেই ভূমিকা রাখবে হবে।’

বাংলাদেশে যেসব পথে ভারত থেকে মাদক প্রবেশ করছে সেসব রুট সম্পর্কে দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোকে জানিয়েছে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

রুটগুলো বন্ধ করতে দুই দেশের মধ্যে ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মহাপরিচালক পর্যায়ে সপ্তম দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার কারণে এবারের সভা অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মন্ডল।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের কিছু তথ্য দিয়েছি। তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে।

‘দুই দেশের সীমান্ত থাকায় উভয়দেশের আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দুই দেশকেই ভূমিকা রাখবে হবে।’

সভায় ভারত থেকে বাংলাদেশে যেসব পথে ইয়াবা পাচার হয় সেসব রুট সম্পর্কেও জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক মাদক পাচারে সমুদ্রপথ ব্যবহার করা হচ্ছে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার বেড়েছে। কারণ স্থলপথগুলোতে কড়াকড়িতে সমুদ্রপথে আসছে।’

ইয়াবার তুলনায় আইস আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে জানিয়ে সে বিষয়য়েও দুই দেশ তৎপর থাকবে বলে জানান ডিজি।

গত কয়েকটি সম্মেলনে ভারতে তাদের সীমান্তে থাকা ফেনসিডিল কারখানার তালিকা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তালিকা অনুযায়ী যেসব কারখানা পাওয়া গেছে, ভারত সরকার সেগুলো ধ্বংস করেছে বলে বাংলাদেশকে জানানো হয়।

মহাপরিচালক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, ‘আমাদেরর সমস্যাগুলো ভারতকে বলেছি। তারা সীমান্তের অনেকগুলো ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।’

মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে মাদক সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হতে হবে বলে জানান মহাপরিচালক।

ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ভারতও এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

সবুর মন্ডল অভিযোগ করেন, মিয়ানমার মাদ নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা নেয় না। নিলে এই অঞ্চলে মাদকের ভয়াবহতা কমে যেত।

মহাপরিচালক বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার (বিমসটেক, সার্ক, কমনওয়েলথ ইত্যাদি) সদস্য। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এবং ভারত মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং মাদক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করছে, যার অংশ হিসেবে ইতোপূর্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।

এ বিভাগের আরো খবর