পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ একেকটি শেয়ারের বিপরীতে পাওয়া যাবে ১৭ টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১১ টাকা ২৬ পয়সা। ওই বছরের ঘোষিত ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর তা দাঁড়ায় ১০ টাকা ২৪ পয়সা। ওই বছর শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ ছিল সাড়ে ১৪ টাকা।
এবারের আয় কেবল গত বছরের চেয়ে বেশি নয়। ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনোই শেয়ারপ্রতি এত আয় করতে পারেনি কোম্পানিটি।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার বছরে শেয়ারপ্রতি ৩০ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পরে আর কোনো বছরেই এবারের মতো নগদ লভ্যাংশ দেয়নি ইউনাইটেড পাওয়ার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা ৫৭ পয়সা আয় করে সাড়ে ১২ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয় ইউনাইটেড পাওয়ার। পরের বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা, ওই বছর লভ্যাংশ ছিল শেয়ারপ্রতি ৯ টাকা, সঙ্গে মিলেছে ১০ শতাংশ বোনাস।
২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১১ টাকা ৫১ পয়সা। লভ্যাংশ ছিল শেয়ারপ্রতি ৯ টাকা নগদ, সঙ্গে ২০ শতাংশ বোনাস। পরের বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১৬ টাকা ৮ পয়সা। লভ্যাংশ ছিল শেয়ারপ্রতি ১৩ টাকা, সঙ্গে ১০ শতাংশ বোনাস।
কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বাড়লেও সম্পদমূল্য কিছুটা কমেছে। গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর এই সম্পদ ছিল ৫৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৫০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩২০ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম ছিল ৩০১ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।