পুঁজিবাজারের দুটি কোম্পানি মুনাফা করেও বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি হামিদ ফেব্রিক্স। কোম্পানিটি লোকসান করেও লভ্যাংশ দেয়ার কথা জানিয়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কোম্পানিটি এই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। কিন্তু রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগকারীদেরকে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লভ্যাংশ পাবেন কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কোনো টাকা নেবেন না।
কোম্পানিটি গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩১ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। চতুর্থ প্রান্তিকেও সেই বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। এই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৪৫ পয়সা।
এর আগে পুঁজিবাজারের দুই কোম্পানি ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোড শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা এবং জেনারেশন নেক্সট শেয়ার প্রতি ১ পয়সা মুনাফা করেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত হামিদ ফেব্রিক্স প্রথম বছর থেকে টানা নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে নগদের সঙ্গে যথাক্রমে ১০ ও ৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ারও দেয়া হয়।
কোম্পানিটি গত বছরও আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৪২ পয়সা। কিন্তু লভ্যাংশ দেয়া হয় এক টাকা করে।
কোম্পানিটি এবার লোকসান দেয়ায় তাদের শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ কমে গেছে। গত বছর শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ৪০ টাকা ৪ পয়সা। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৭৯ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে আগামী ২৮ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।
কোম্পানিটির শেয়ারদর তার সম্পদমূল্যের প্রায় অর্ধেক। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ারদর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।