মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় আমানত শাহ রো রো ফেরিটি কাত অর্ধেক ডুবে যাওয়ার ঘটনায় উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দরের অদূরে নোঙর করা উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় বেলা ১১টার দিকে ছেড়ে আসে।
জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। এক্ষেত্রে সেতুর নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে জাহাজটি অতিক্রমের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
জাহাজ প্রত্যয়ের কমান্ডার মাসুদ উল হক বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা পদ্মা ও মেঘনার মোহনায় পদ্মার আমিরাবাদ লাল বয়ার কাছে আছি। এখানে প্রচণ্ড স্রোত, সামনে আগানো যাচ্ছে না। প্রথম নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ট্যাগবোট আমাদেরকে টেনে নিয়ে আসে। পরে চাঁদপুর থেকে আরও একটি ট্যাগবোট যোগ দেয়। শিমুলিয়া ঘাট থেকে গরাল-৪ নামের আরও একটি বোট জাহাজ টেনে নেয়ার জন্য আসছে।
‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এখানে (মোহনায়) নোঙর করা হবে। দিনের আলোতেই পদ্মা সেতু পার হতে পারব বলে আশাবাদী আমরা।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) মাওয়া ঘাটের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, পানির স্তর থেকে পদ্মাসেতুর স্প্যানের উচ্চতা ৬৭ ফিট। অন্যদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের উচ্চতা ৫৮ ফিট। ফলে জাহাজটি নির্বিঘ্নেই সেতু অতিক্রম করতে পারবে। সেতুর ১৪-১৫ নম্বর পিলারের মাঝ দিয়ে জাহাজটি অতিক্রম করতে পারে।
তিনি আরও জানান, জাহাজটি সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আমানত শাহ নামে রো রো ফেরিটি নোঙর করছিল। ফেরি থেকে দু-তিনটি যানবাহন নামার পরপরই এটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, ফেরিটি কাত হয়ে আংশিক ডুবেছে, পুরোপুরি ডুবে যায়নি।
দৌলতদিয়া ঘাটের নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ফেরির ডুবে যাওয়া অংশে এখনও কাউকে আটকে থাকা অবস্থায় পায়নি। ফেরিতে কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না। তবে তিনটি মোটরসাইকেল ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেগুলোর চালক ঘাটে অবস্থান করছেন।