বড় অঙ্কের লোকসানের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবার বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৬ টাকা ১২ পয়সা।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৭ সাল থেকেই লোকসানে। তবে গত চার বছর মিলিয়েও এত বেশি লোকসান দেয়নি।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা করে, ২০১৯ সালে ২ টাকা ৩৪ পয়সা এবং ২০২০ সালে ৩৬ পয়সা লোকসান দেয় কোম্পানিটি। অর্থাৎ এই চার বছরের সম্মিলিত লোকসান ছিল ৫ টাকা ১৪ পয়সা।
চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিকে মার্চ পর্যন্তও বড় লোকসানের ইঙ্গিত ছিল না। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসান ছিল কোম্পানিটির। আর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে লোকসান হয় ৫ টাকা ৯৮ পয়সা।
বড় অঙ্কের লোকসানের কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্যও কমে গেছে। গত অর্থবছর শেষে একেকটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ১১ টাকা ৯১ পয়সা। গত ৩০ জুন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা।
কোম্পানিটির শেয়ারদর গত এক বছরে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ নভেম্বর। লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা অনুমোদনে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর।