বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে কেউ হতাশ হবে না: সালমান

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:২৭

‘আমাদের এমন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্টনারশিপ-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এর অর্থ যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবেন তারাও যেন লাভবান হন, বাংলাদেশও যেন লাভবান হয়।… প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতির যে উন্নতি হয়েছে তাতে বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করে কেউ হতাশ হবে না।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত উল ইসলাম মনে করেন, দেশে যে অভাবনীয় পরিবর্তনগুলো এসেছে, তার যথেষ্ট প্রচার হয়নি। এই বিষয়ে তথ্য পেলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।

বুধবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ডের পাশাপাশি এবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হতে যাওয়া রোড শো সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করা হয় লন্ডন থেকে, ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সালমান ও শিবলী রুবাইয়াত। আরও ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।

নভেম্বরের শুরুত লন্ডনে হতে যাচ্ছে এই রোড শো। যেখান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার নানা দিক উপস্থাপন করা হবে। এই শো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের বিনিয়োগের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার বিষয়ে আমাদের প্রবাসীদের কাছে স্পষ্ট ধারণা নেই। এখন আমাদের দেশের বিনিয়োগের যে পরিবেশ তাতে লন্ডনের বিনিয়োগাকরীরাও লাভবান হবেন, আমাদের প্রবাসীরা ও লাভবান হবেন।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের এমন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্টনারশিপ-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এর অর্থ যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবেন তারাও যেন লাভবান হন, বাংলাদেশও যেন লাভবান হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আমাদের অর্থনীতির যে উন্নতি হয়েছে তাতে বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করে কেউ হতাশ হবে না।’

সালমান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির যে ক্রমবর্ধমান ধারা, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হতে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এখন আমাদের নতুন নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন।

‘আমাদের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ প্রচেষ্টায় বড় বিনিয়োগের বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। আমাদের এখন বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকছে। বিদুতের গাড়ি এখন আমাদের এখানে তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে।

‘অবকাঠামো খাতেও আমাদের বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ এখন সান্টেনেবল ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে আমাদের যে প্রচারণা, তার প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করা, বিনিয়োগ নিয়ে আসা, বিশেষ করে সরকারকে সহযোগিতা করা।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির যে চমকপ্রদ উন্নয়ন হয়েছে তা এখনও সেভাবে প্রচার হয়নি। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা এখনও অনেকের অজানা। সেগুলো বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।

‘পোশাক রপ্তানিতে আমাদের যে উন্নতি, তা অনেক দেশের কাছে বিস্ময়। আমরা ইতোমধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের প্রচার জোরদার করতে হবে।

সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজার এখন সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বক্তব্য দেয়ার পর তাকে সমর্থন করেন সালমান রহমানও। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে। এর মানে পুঁজিবাজার সম্প্রসারিত হয়েছে।’

‘মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার এখন একটি ইমেজিং মার্কেটে রূপান্তরিত হচ্ছে।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। অবকাঠামো উন্নয়নেও এখন বন্ড ছাড়া হচ্ছে। মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যাক্তিশ্রেণিসহ সরকারও ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবাসীসহ বিদেশিরা এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। একই সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও বিনিয়োগের বড় জায়গা আছে।‘

মৎস্য শিকারে বিনিয়োগ চায় বিডা

সংবাদ সম্মেলনে সামুদ্রিক অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের এখন একটি সাব সেক্টর। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য নতুন একটি খাত। ব্লু ইকোনোমিক নামে পরিচিত এই সেক্টর এখনও আমাদরে দক্ষতার অভাবে ব্যবহারের বাইরে আছে। আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা থাকলেও ফিশিংয়ে আমাদের অবদান খূবই কম।

‘লন্ডনের ফিশিংয়ে বড় বড় বিনিয়োগ হয়ে থাকে। লন্ডনের বিনিয়োগাকরীরা চাইলে আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে পারে।

‘ব্লু ট্যুরিজম বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন মাত্র যোগ করবে। দর্শনীয় স্থানগুলোর পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারলে এ খাতেও নতুন বিনিয়োগের সুযোগ আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর