মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় নোঙর করার সময় ফেরি আংশিক ডুবে যাওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ থাকায় এই নৌপথের অপর প্রান্তে অনেক যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় আছে নদী পার হওয়ার জন্য। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজট।
রোদে ও গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী রিপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বসে আছি দৌলতদিয়া ঘাটে। শুনলাম পাটুরিয়ায় ফেরি উল্টে গেছে। কখন পার হতে পারব কিছুই বুঝছি না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এখন বন্ধ থাকায় ওই ঘাটে কোনো ফেরি ভিড়ছে না। অন্য ঘাটগুলোতে যানবাহন নামাতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় লাগছে। তাই দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন জমে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান সকালে জানান, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে আমানত শাহ নামে একটি বড় রো রো ফেরি নোঙর করছিল। ফেরি থেকে দু-তিনটি যানবাহন নামার পরপরই এটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, ফেরিটি কাত হয়ে আংশিক ডুবেছে, পুরোপুরি ডুবে যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাভার্ড ভ্যানচালক বলেন, ‘ফেরি কাত হওয়া দেখে সবাই দ্রুত বেরিয়ে আসেন। আমিও বেরিয়ে পড়ি। ফেরিতে কেউ আটকে থাকতে পারে।’
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক দিনো শর্মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৯টা ৩৪ মিনিটে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তখন থেকেই আমাদের ডুবুরি দল কাজ শুরু করে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজাও কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফেরির নিচের অংশে ব্যালাস্ট ট্যাংকে লিকেজ হয়ে অতিরিক্ত পানি ঢোকায় এ অবস্থা হয়েছে।
‘আমাদের উদ্ধারকাজ চলছে। এখন পর্যন্ত হতাহত কাউকে পাইনি।’