দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩০৬ জনের শরীরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৪০ জনের।
গত এক দিনে দেশের ৮৩৩টি ল্যাবে করোনার ১৯ হাজার ৯৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দেশে এ নিয়ে টানা ৩৫ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় অনুযায়ী, কোনো দেশে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে অনুযায়ী দেশে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা।
গত বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর চলতি বছর এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
তবে সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসিবে ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩ জন, নারী ৪ জন। এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব ২, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১ ও ষাটোর্ধ্ব ৩ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর চট্টগ্রাম ও রাজশাহী এক জন করে মারা গেছে। এ ছাড়া খুলনাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ।