জামালপুরে যুবলীগ কর্মীদের হামলায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ পণ্ড হয়েছে।
হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড এবং সমাবেশস্থলের দুটি মাইক ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেছে।
হামলার সময় যুবলীগের মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি ককটেল ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সমাবেশের প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন।
জামালপুর শহরের শফি মিয়ার বাজার মোড়ে দুপুর ১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় বুধবার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সদর উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। জেলা যুবলীগের একদল নেতাকর্মী দুপুর ১টার দিকে লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে সমাবেশে হামলা চালায় এবং অন্তত পাঁচটি ককটেল ছোড়ে। এতে যুবদলের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দমাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড, সমাবেশের দুটি মাইক ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘যুবদলের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছিল। সমাবেশের শেষের দিকে আমি বক্তব্য রাখার সময় জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এরশাদ হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলা করে। তারা পাঁচটি ককটেল করলে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
‘এ সময় হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ের সাইনবোর্ড এবং সমাবেশস্থলের দুটি মাইক ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেছে। হামলার পর পুলিশ আমাদের চার-পাঁচজন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে।’
হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জামালপুর পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি ও যুবদলের নেতার্কীরা বাধা দিলে সেখানে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।