বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরিতে ভারসাম্য রাখার ব্যালাস্ট ট্যাংক কী

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৩৭

জলপথে চলাচলের সময় নৌযানের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যালাস্ট ট্যাংক লাগানো হয়। আগের দিনে বড় নৌযানে ব্যালাস্ট ট্যাংক হিসেবে ‌বালুভর্তি ব্যাগ, পাথর বা লোহার ব্লক ব্যবহার করা হতো। নৌযানে মালামাল লোড-আনলোড করার সময় এই ট্যাংকগুলোও লোড-আনলোড করা হতো। আধুনিক সময়ের নৌযানে সাধারণত পরিষ্কার পানি বা লবণপানির চেম্বারের ব্যালাস্ট ট্যাংক থাকে।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে শাহ আমানত ফেরিটির ব্যালাস্ট ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হেলে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক দিনোমনি শর্মা জানান, ট্যাংকটি লিক হওয়ায় অতিরিক্ত পানি ঢুকে ফেরিটি কাত হয়ে আংশিক ডুবে যায়।

এই ট্যাংকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারসাম্য রক্ষার জন্য ফেরির নিচের অংশে কিছু চেম্বার থাকে। এগুলোকে ব্যাল্যান্স ট্যাংক বলে। আমরা ধারণা করছি, পানি প্রবেশ করে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ফেরি কাত হয়েছে। তবে এখনও ডিটারমাইন্ড না।’

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ভারসাম্য রক্ষার চেম্বারকে ‘ব্যাল্যান্স ট্যাংক’ বললেও বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে জানান, এটিকে ব্যালাস্ট ট্যাংক বলা হয়। বড় নৌযানে এগুলো ব্যবহার করা হয়।

মেরিন ইনসাইট নামের একটি ওয়েবসাইটে ব্যাল্যাস্ট ট্যাংকের বিষয়ে বলা হয়েছে, জলপথে চলাচলের সময় নৌযানের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যালাস্ট ট্যাংক লাগানো হয়। আগের দিনে বড় নৌযানে ব্যালাস্ট ট্যাংক হিসেবে ‌বালুভর্তি ব্যাগ, পাথর বা লোহার ব্লক ব্যবহার করা হতো। নৌযানে মালামাল লোড-আনলোড করার সময় এই ট্যাংকগুলোও লোড-আনলোড করা হতো।

আধুনিক সময়ের নৌযানে সাধারণত পরিষ্কার পানি বা লবণপানির চেম্বারের ব্যাল্যাস্ট ট্যাংক থাকে। নৌযানের আকৃতি বা পণ্যের পরিমাণের ভিত্তিতে ব্যালাস্ট ট্যাংকের পানি কম-বেশি করা হয়।

ব্লগ ডট স্টেনাইল ডটকম ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ব্যালাস্ট শব্দটি এসেছে প্রাচীন নরডিক ভাষার শব্দ বারলাস্ট থেকে। ওই ভাষায় বার শব্দের অর্থ ‘খালি’ এবং লাস্ট অর্থ ‘কার্গো’।

মূলত তিন ধরনের ব্যালাস্ট নৌযানে ব্যবহার করা হয়। একটি হালকা, একটি ভারী ও একটিকে বলে পোর্ট ব্যালাস্ট।

নৌযান যখন পুরোপুরি ভর্তি থাকে তখন অতিরিক্ত ব্যালাস্টের প্রয়োজন হয় না। সে সময় ব্যালাস্ট ট্যাংক খালি রাখা হয়। এটাকে বলে লাইট ব্যালাস্ট।

নৌযান পুরোপুরি ভর্তি না থাকলে তখন ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজন হয়। সে সময় ব্যালাস্ট ট্যাংকে পরিমাণমতো তরল ভর্তি করা হয়। এটিকে তখন বলে হেভি ব্যালাস্ট।

পৃথিবীর অনেক বন্দরে লাইট ও হেভি ব্যালাস্টের নৌযান ভিড়তে দেয়া হয় না। এসব বন্দর থেকে নিজস্ব ব্যালাস্ট সরবরাহ করা হয় বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় থাকা নৌযানকে। বন্দর থেকে সরবরাহ করা এসব ব্যালাস্টকে বলা হয় ‘পোর্ট ব্যালাস্ট’।

এ বিভাগের আরো খবর