বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যাংক-বিমার দারুণ দিনে বাড়ল আস্থা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:২৪

ব্যাংক খাতে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, সামান্য কমেছে কেবল দুটির দর। একই অবস্থা বিমা খাতের। গত জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দরপতন হতে থাকা এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৪৬টির শেয়ার দর।

অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার ভালো খবরেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরপতনের চাপ কাটিয়ে টানা দুই দিন পুঁজিবাজারের উত্থান হলো ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারের উত্থানে।

টানা দরপতনের মধ্যে মঙ্গলবার বড় উত্থানের পরদিন পুঁজিবাজারের লেনদেন কী হয়, সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। দিনভর ওঠানামা করে সূচকের অবস্থান ধরে রাখতে পারাটা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।

মঙ্গলবারের মতো অতটা না হলেও বুধবারও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। মোট ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে গত দুই মাসে টানা বাড়তে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো শেয়ারপ্রতি সাড়ে ১২ টাকার অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার পর দরপতনে সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ২৬ পয়েন্টের বেশি। আইসিবি, বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার মতো বড় মূলধনি কোম্পানিরও দরপতন হয়েছে।

এর ভিড়েও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিন শেষে ৬ পয়েন্ট বৃদ্ধির পেছনে যে ১০টি কোম্পানি প্রধান ভূমিকায় ছিল, তার মধ্যে সাতটিই ব্যাংক খাতের। এই চিত্র সহসা দেখা যায় না পুঁজিবাজারে।

ব্যাংক খাতে ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, সামান্য কমেছে কেবল দুটির দর।

একই অবস্থা বিমা খাতের। গত জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দরপতন হতে থাকা এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৪৬টির শেয়ার দর।

ব্যাংক-বিমার সম্মিলিত উত্থান সূচক বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে

আবার গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোই হারিয়ে ফেলা দর কিছুটা ফিরে পেয়েছে।

এসব ঘটনায় দর সংশোধন শেষ হতে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা আরও বড় হয়েছে।

জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে টানা। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় দর সংশোধন। শুরুতে স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর দর পড়তে থাকে। কিন্তু বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকায় সংশোধনেও সূচক বাড়ে।

কিন্তু সংশোধনের পঞ্চম সপ্তাহে এসে দর হারাতে থাকে বড় মূলধনি কিছু কোম্পানিও। আর ষষ্ঠ সপ্তাহে গত রবি ও সোমবার দুই দিনে ১৯০ পয়েন্ট সূচক পড়ে যাওয়ার পর তৈরি হয় আতঙ্ক।

তবে মঙ্গলবার ১২০ পয়েন্ট সূচকের উত্থান, এক দিনে প্রায় সাড়ে তিন শ কোম্পানির দর বৃদ্ধি, ৪১টি কোম্পানির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হওয়ার ঘটনায় আশাবাদী হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা।

এ অবস্থায় বুধবারের লেনদেনটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এদিন বাজার তার অবস্থান ধরে রাখতে পারলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিড় ধরা আস্থা ফিরবে- এমন বাস্তবতায় লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে কমে যায়।

ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি একাই সূচক টেনে নামিয়েছে ২৬ পয়েন্টের বেশি

আগের দিন ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো দিনের শুরুতেই দর হারিয়ে ফেলে। তৃতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। দুটি ভালো খবরের পরেও কোম্পানিটির দর হারিয়ে ফেলাটা ছিল বিস্ময়কর।

আবার বাজার দরপতনের দিকে গেল কি না, এই দুশ্চিন্তা চেপে বসার আগেই ব্যাংক ও বিমা খাতের শেয়ারগুলো তেজি হয়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত গ্রামীণফোন, ডাচ্-বাংলা, ব্র্যাক, আইএফআইসি, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ইবিএল, এনআরবিসি, ফরচুন সুজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও সাউথ বাংলা ব্যাংক মিলিয়েই সূচকে যোগ করল ৩২.৮৪ পয়েন্ট।

বুধবার সূচক বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল ব্যাংক খাত

অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, পাওয়ারগ্রিড, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, তিতাস গ্যাস ও বিএসআরএম স্টিলের শেয়ারের দরপতন সূচক কমিয়েছে ৫১.২৯ পয়েন্ট।

বিনিয়োগ আরও ব্যাংকমুখি

ব্যাংক খাতে কেবল শেয়ারদর বাড়েনি, সেই সঙ্গে সবচেয়ে বেশি লেনদেনও হয়েছে। গত অর্থবছরে সবচেয়ে ভালো লভ্যাংশ দেয়া এই খাতটির কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকেও ভালো আয় করে গতবারের আয়কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এসব ঘটনায় দর সংশোধনের মধ্যেই ঝিমিয়ে থাকা খাতটিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিনিয়োগকারীরা। ধীরে ধীরে বিনিয়োগ বাড়ছে কোম্পানিগুলোতে।

বুধবার পৌনে তিনশ কোটি টাকার বেশি হাতবদল হয়েছে এই খাতটিতে, যা সামগ্রিক লেনদেনের ১৮.৪৬ শতাংশ।

সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের ৬.১৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ টাকা।

বুধবার মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশের বেশি হয়েছে ব্যাংক খাতে

তারপরই আছে এনআরবিসি, যার দর বেড়েছে ৫.৭৯ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৬৯ শতাংশ।

এছাড়া সাউথবাংলা ব্যাংকের দর ৫.৩৬, ইবিএলের দর ৪.৬০, ডাচ্-বাংলার দর ৪.৩৫, ব্র্যাক ব্যাংকের দর ৩.৩৪, ওয়ান ব্যাংকের দর ৩.১৭, ব্র্যাক ব্যাংকের দর ৩.০৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিপরীতে শেয়ারদর ১.৯১ শতাংশ কমেছে লোকসানি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।

আগ্রহের আরেক খাত ছিল বিমা

আগের দিন ৫১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছিল ৫০টির দর। পরের দিনও প্রায় একই ধরনের চিত্র। এদিন বেড়েছে ৪৬টির দর।

লেনদেনে বিমা খাতের ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৫টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১৭৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫৪ শতাংশ। এছাড়া সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৮১ শতাংশ। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৭.৭৫ শতাংশ।

দর পতনের দিকে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। তবে দর কমার হার খুবই কম।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এই খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আাগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বেড়েছে ৩টি কোম্পানির দর, কমেছে ১০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে একটির র।

এই খাতে সবচেয়ে আলোচিত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড দর হারিয়েছে। শেয়ারদর ১৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৬০ টাকা ৭০ পয়সা।

গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি উত্থান হওয়া কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি সাড়ে তিন টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর রোববার শেয়ারদর এক পর্যায়ে ১৮০ টাকা হয়ে যায়। তবে এরপর ২০ টাকার মতো কমেছে।

দর পতন হলেও লেনদেনে এগিয়ে ছিল কোম্পানিটি। এদিন বেক্সিমকোর ১২৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

লেনদেনের চতুর্থ অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন বেড়েছে। ৩০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এসব কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই দর হারিয়েছে। ১৩টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৬টির দর। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

বস্ত্র খাতের মোট লেনদেনও হয়েছে সমান ১০৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ২ কোটি টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ২৯ টির, অপরিবর্তি ছিল বাকি ৪টির দর।

ব্যাংক ছাড়া বাকি খাতগুলোতে লেনদেনের গতি খুব একটা ভালো ছিল না

লেনদেনের পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিও দর হারিয়েছে। এই খাতের ১৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৫টিরর দর, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিবিবি পাওয়ারের দর, ৯.৯১ শতাংশ। এছাড়া মেঘনা পেট্টলিয়ামের শেয়ারদর বেড়েছে ১.৭৯ শতাংশ।

দর পতনের দিক দিয়ে এ খাতের এগিয়ে ছিল বিডি ওয়েল্ডিং, যার শেয়ার দর কমেছে ৫.২০ শতাংশ।

খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে লেনদনে হয়েছে ৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৬১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে এ খাতের ১২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৯টির।

আর্থিক খাতে আগের দিন ২২টি কোম্পানির সবগুলোর দর বাড়লেও দ্বিতীয় দিনে এসে দর হারিয়েছে ৯টি। তবে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় এই খাতের দুটি কোম্পানি ছিল। দুটিই লোকসানি এবং সাম্প্রতিক দর সংশোধনে ব্যাপকভাবে দর কমেছে।

কোম্পানি দুটি হলো ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি। দুটির দরই বেড়েছে ৬০ পয়সা করে। দিনের সর্বোচ্চ দরেই লেনদেন হয়েছে কোম্পানি দুটি।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেনে ২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৯টির।

সিমেন্ট খাতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে খানিকটা বেড়ে হাতবদল হয়েছে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেনে ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ৪টির দর কমেছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেন আবার ১০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। ১৬টি ফান্ডের ইউনিট দর ১০ পয়সা করে বাড়ার দিন কমেছে ৬টির দর। একটির দর কমেছে ৩০ পয়সা, বাকিগুলোর ১০ পয়সা করেই।

আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১১ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮১ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।

দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর