স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের দাখিল করা নারাজি আবেদনের ৩ নভেম্বর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে বুধবার নারাজি আবেদনের শুনানি হয়। এরপর আদালত আদেশের তারিখ ৩ নভেম্বর ঠিক করে।
বাবুলের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, প্রথম মামলার দুইজন আসামি জবানবন্দিতে বলেছেন- মুছার নির্দেশে তারা মিতুকে খুন করেছেন। কিন্তু মুছাকে গ্রেপ্তার না করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের তদন্ত কর্মকর্তারা সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইলের কললিস্ট পর্যালোচনা করেছেন।
ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, পাঁচ বছর পর এসে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে বাবুল আকতারকে ফাঁসানো হয়েছে বলে বাদী পক্ষের মনে হয়েছে। আদালত এসব বক্তব্য শুনেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের দিন ঠিক করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ফেনী কারাগার থেকে বাবুলকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।
ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করছিলেন।
শুরুতে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়।