উন্নত জাতি গঠনে গবেষকদের বিকল্প নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তৃতীয় গবেষণা দিবস উপলক্ষে বুধবার বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও অ্যাওয়ার্ড প্রদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত জাতি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন গবেষকরা। তাই আমাদের দেশে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
অনেক সময় গবেষণার বরাদ্দ ফিরে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা গবেষণা করেন, তারা হয়তো সঠিক নিয়মকানুন মেনে আবেদন করেন না। কোথাও একটা সমস্যা আছে।
‘এ বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নইলে যারা ভালো গবেষক আছেন, তারা হতাশ হবেন।’
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সবাই গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলেন, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহারও হয় না। তাই বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।’
দেশের গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নতির জন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব, আপনারা গবেষণা খাতে কিছু ব্যয় করুন। এতে দেশ লাভবান হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।’
করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফল প্রকাশ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, মোট ১৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।’
তিনি জানান, করোনার টিকাগ্রহীতাদের ওপর গবেষণার ফলে দেখা গেছে, তাদের ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।