বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুক-ইউটিউবের কনটেন্ট সরাতে পারে বাংলাদেশ: জব্বার

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:০৫

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যেকোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সক্ষমতা আমরা আগেই অর্জন করেছি। এখন ফেসবুক, ইউটিউবের ভিডিও বা ছবি সরানোর প্রযুক্তি আমরা অর্জন করেছি। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। এ কারণে এখনও এগুলো আমরা বন্ধ করিনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

ফেসবুক ও ইউটিউবের যেকোনো ভিডিও বা ছবি মুছে ফেলার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সচিবালয়ে বুধবার বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সক্ষমতা আমরা আগেই অর্জন করেছি। এখন ফেসবুক, ইউটিউবের ভিডিও বা ছবি সরানোর প্রযুক্তি আমরা অর্জন করেছি।

`মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। এ কারণে এখনও এগুলো আমরা বন্ধ করিনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

কুমিল্লার ঘটনায় বেশ কড়া ভাষায় ফেসবুককে চিঠি দেয়া হয়েছে হলেও জানান তিনি।

এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বড় সংকট বলে চিহ্নিত করেন তিনি।

মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘তার মধ্যে ফেইসবুক-ইউটিউবই প্রধান। দুর্ভাগ্যজনক যে, এর দুটির কোনটিই বাংলাদেশি কোম্পানি নয়। দুটিই আমেরিকান এবং তারা তাদের মতো করে ব্যবসা বাণিজ্য করে।

‘নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তারা যে বিষয়টি বলে, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ফলো করা হলো কি না। এটি মানে হচ্ছে আমেরিকার সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কিছু নির্দেশ তৈরি করে রাখে। সেগুলোর লংঘন হলে তারা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার যে সংকট, এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলো তৈরি হয় সেখানে ভূমিকা পালন করা দরকার তারা শুরুতে সে বিষয়গুলো বুঝতেই পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হয়। আগে যে অবস্থাটা ছিল, সেখান থেকে কিন্তু পরিবর্তিত হয়েছে। বিশেষ করে, কুমিল্লায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার ক্ষেত্রে আমরা দৃষ্টান্ত দিতে পারি। ধরেন আমরা হয়তো তিন শ লিঙ্ক রিপোর্ট করেছি, তারা ২৬৪ বন্ধ করেছে। তারা কর নিবন্ধিত হয়েছে, ভ্যাট দিচ্ছে। বিশেষ একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।

‘আমাদের কাছে যে প্রযুক্তি আছে সেটি দিয়ে কিন্তু আমরা যে কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করতে পারি। এর জন্য কারও উপর নির্ভর করতে হয় না। এখন স্যোসাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও আমরা প্রযুক্তি অর্জন করেছি, ইচ্ছে করলে ফেইসবুকের ভিডিও, ছবি, লাইভ স্ট্রিমিং ইউটিউবের ভিডিও বন্ধ করতে পারব। এখন যখন প্রয়োজন হবে তখন আমরা প্রয়োগ করতে সক্ষম হব।’

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে টেলিটক এ প্রযুক্তি চালু করবে। আগামী বছর থেকে অন্য অপারেটররাও ফাইভজি চালু করবে।’

এর আগে বিষয়টি নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, ‘পরীক্ষামূলক ফাইভজি নেটওয়ার্কের জন্য প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরই ফাইভজির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। টেলিটক ফাইভজি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য শুরুতে ঢাকায় কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

‘এটি শেষ হলে সারা দেশের জন্য বড় প্রকল্প নেয়া হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব বলছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। জুলাই শেষে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখে। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখের কিছু বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর