আওয়ামী লীগকে তাড়াতে বিএনপিই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সেই ভয় থেকেই সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর চন্দ্রীমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘যুবদল ৪৩ বছরে পদার্পণ করেছে। বিএনপির অন্যতম অঙ্গসংগঠন হচ্ছে যুবদল। এ কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, আত্মার মাগফেরাত কামনার উদ্দেশ্য আগমন। এখানে আসতে আজ আমাকে হেঁটে আসতে হয়েছে। এর আগে এ রকম কখনও হয়নি। আমাদের এখন এখানে হেঁটে আসতে হয়।
‘যুবদলের হাতে গোনা কয়েকটা ছেলে আছে আমাদের সঙ্গে, কিন্তু যুবদল এমন সংগঠনের না। যুবদল বিশাল দল। নব্বইয়ের আন্দোলনে, ৯৬ আন্দোলনে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যক্রম নিয়েছেন এবং সরকারের পতনও হয়েছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার দেশবাসী ও যুবদলকে ভয় পেতে শুরু করেছে। এখানে যুবদলের লোকের চেয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোক দ্বিগুণ। এতে আমাদের টাকার অপচয় করা হচ্ছে, এদের পরিশ্রম করানো হচ্ছে, কষ্ট করানো হচ্ছে এবং বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যুবদল অনেক বড় দল, আমি আশা করি এরা আরও শক্তিশালী হবে। সরকার পতনের আন্দোলনকে জোরদার করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে তাড়ানোর জন্য বিএনপি যথেষ্ট। এ কারণে সরকার বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’
সম্প্রতি সময়ের দেশব্যাপী সহিংসতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওদের যা উদ্দেশ্য ছিল তা পূরণ করার চেষ্টা করেছে। প্রথমত বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক দল হিসাবে জাতীর কাছে তুলে ধরা। দ্বিতীয় ভারতে নির্বাচন চলছে সেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। তৃতীয়ত বাংলাদেশ নির্বাচন আসতেছে সেই নির্বাচনকে প্রভাব ফেলা। এটা মোটেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়।’
এ সময় যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ যুবদলের ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।