চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যার প্রথম মামলার বাদী হিসেবে নারাজির শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে নেয়া হয়েছে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারকে।
কড়া নিরাপত্তায় পুলিশের একটি দল বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছায়।
বাবুল আকতার মিতু হত্যার নতুন মামলার প্রধান আসামি।
প্রথম মামলায় তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আদালত আবেদনটির শুনানির তারিখ ২৭ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।
এই শুনানিতে অংশ নিতে বাবুলের আইনজীবীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাহীন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে এই শুনানি হবে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে।
ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
শুরুতে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়।
বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।
মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। চলতি বছরের ১২ মে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন তিনি। একই দিন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়।
মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুলকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
১৬ মে আগের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা।
রিমান্ড শেষ হওয়ার পর থেকে ফেনীর কারাগারে আছেন বাবুল।