পরিবারিক বিরোধের জেরে বরগুনায় মামাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক যুবক। ফজলু প্যাদা নামে ওই ব্যক্তিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ভাগ্নের নাম মাহফুজ।
বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক মিয়া জানান, স্ত্রীর বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া নিয়ে ভাগ্নে মাহফুজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় ফজলুর। বিষয়টি নিয়ে একপর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এর জেরে সন্ধ্যায় মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগমের সঙ্গে ফজলুর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে মাহফুজ উত্তেজিত হয়ে ধারাল দা দিয়ে ফজলুর মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরপরই মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগম বসতঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বৈদ জানান, ফজলুর মাথায় ধারাল অস্ত্রের সাত-আটটি জখম হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাত ১০টার দিকে ফজলুর ছেলে সাব্বির রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় বাবাকে আশঙ্কাজনক অবস্থা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়েছে।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।