নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িত অভিযোগে দুই বিএনপি নেতাসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-পুলিশ ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।
আট আসামিকে দুপুরে নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুধারাম থানার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.সুমন, চৌমুহনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইমরান হোসেন নিশান, একই ওয়ার্ডের মো. রনি, মীরওয়ারিশ গ্রামের মো.ইউসুফ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তারুজ্জামান, সোনাইমুড়ীর রবিউল হোসেন ওরফে রনি, লক্ষীপুর সদরের সাহেদুল ইসলাম ও হাতিয়া পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছেরাজুল হক বেচু।
এসপি আরও জানান, ইমরান হোসেন নিশান আগে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রহিম সুজনসহ কয়েকজন মন্দিরে লুটপাটের এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করেন। নিশান আট হাজার টাকা ভাগে পান। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা তিনি খরচ করেছেন। বাকি ২৫০০ টাকা তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় এবং পরদিন দুপুরে একই উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় ১১টি পূজামণ্ডপে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। লুটপাট করা হয় মন্দিরের আসবাব, স্বর্ণালংকার। ভাঙচুর করা হয় প্রতিমা।
হামলায় প্রাণ হারান প্রান্ত চন্দ্র দাশ নামে এক যুবক, আতঙ্কে হৃদরোগে যতন সাহা নামে আরেকজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে যতনের পরিবারের অভিযোগ, তিনিও হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
নোয়াখালীতে সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ২৫ জন কারাগারে আছেন।