চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে স্ট্রোকের রোগীদের চিকিৎসায় চালু হয়েছে বিশেষায়িত স্ট্রোক ইউনিট।
নিউরোলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই ইউনিট উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ওয়াহিদুর রহমানের নামে এর নাম রাখা হয়েছে ওয়াহিদুর রহমান মেমোরিয়াল স্ট্রোক ইউনিট।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্ট্রোক ইউনিটের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রোগীরা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাবেন। ঢাকার নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের পর সরকারিভাবে এই প্রথম চট্টগ্রাম মেডিক্যালে এ ইউনিট সংযোজন হতে যাচ্ছে। এখানে বিশেষায়িত সেবা দেয়ার জন্য হাসপাতালের ওয়ান স্টপ জরুরি সেবাকেন্দ্রে একটি নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন শিগগির সংযোজন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউরোলজি ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক সময় লিফটের পাশে বারান্দায় রোগী রাখতে হয়; এটি অমানবিক। আমরা চেষ্টা করছি, এই ওয়ার্ডে একটি বর্ধিত ওয়ার্ড খুঁজে বের করার।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এই স্ট্রোক ইউনিট গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা দেয়া। এই থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোকের রোগীদের হাতে-পায়ে প্যারালাইসিস হওয়া রোধ করা যাবে। তবে স্ট্রোক হওয়ার সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি থেরাপি দেয়া না যায় তাহলে এটি ফলপ্রসূ হবে না।’
নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল আলম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা মোছলেহউদ্দিন।
মোছলেহউদ্দিন তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, এই ইউনিটের মাধ্যমে অত্যাধুনিক থ্রম্বোলাইসিস চিকিৎসার মাধ্যমে স্ট্রোকজনিত মৃত্যুহার ও শারীরিক অক্ষমতা অনেকাংশে কমে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রয়াত চিকিৎসক ওয়াহিদুর রহমানের বাবা মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এম এ হাছান চৌধুরী, রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুভাষ মজুমদার, নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান শওকত হোসেন।