শেরপুরে শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় একজনকে ৩০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডিত ৪৭ বছর বয়সী গোলাপ হোসেনের বাড়ি ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল দুপুরে বাড়ির সামনে খেলার সময় ১১ বছরের শিশুকে অপহরণ করেন গোলাপ। তাকে নিয়ে যান রাজধানীর নদ্দা এলাকায়। শিশুটির পরিবার এ তথ্য জানতে পেরে গোলাপের শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে চাপ দিতে থাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। আনোয়ারা বেগম শিশুটিকে ফিরিয়ে এনে দেন।
শিশুটি বাড়ি ফিরে স্বজনদের ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তার বাবা ওই বছরের ২ মে ঝিনাইগাতী থানায় ছয়জনকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন।
ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী বিশ্বাস ২০১৪ সালের ৫ জুলাই গোলাপ হোসেন, তার স্ত্রী কুলছুম বেগম, মেয়ে ময়না আক্তার ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গোলাপকে ধর্ষণের দায়ে ৩০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুই সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বাকি তিন আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানান আইনজীবী কিবরিয়া।