কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে সহিংসতায় বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন বলে দাবি করেছে কুমিল্লা মহানগর বিএনপি।
নগরীর কান্দিরপাড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার খবর পেয়ে সবার আগে ছুটে যান সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।’
তিনি বলেন, ‘ওই সহিংসতায় কুমিল্লা মহানগর যুবদল সভাপতি ইউসুফ মোল্লা টিপুকে জড়ানো হয়েছে। ৯৯৯-এ কল করা ইকরামের বাসায় ইউসুফ মোল্লার একটি ছবি ফেসবুকে ঘুরছে, যা সত্য নয়।
‘ইউসুফ মোল্লা করোনার সময় বিবেক সংগঠনের মাধ্যমে ৪৩৯ জন মুসলিম, ৯ জন হিন্দু ও ১ জন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোককে সমাহিত করেছেন। আট হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ, ১৩ জন করোনা রোগীকে প্লাজমা সরবরাহ এবং ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়েছেন।’
বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কুমিল্লা মহানগর বিএনপি মনে করে সামনে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বিএনপির মেয়র সাক্কুকে ঘায়েল করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কুচক্রী মহল। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
মেয়র সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিউদ্দিন আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধ সহিংসতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মহিউদ্দিন বাবু গ্রেপ্তার কি না জানি না, কোথায় আছেন তাও বলতে পারব না।’এ ঘটনায় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হলেও এ বিষয়ে কিছু না জানার দাবি করেন নেতারা।মেয়র সাক্কু এখন পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদ আরবে রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুর রউফ চৌধুরী ফারুক, আবদুস সালাম মাসুক, আবুল হোসেন, নজরুল হক ভুইয়া স্বপন।