বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছবিতে হিজাব না থাকায় হেনস্তার অভিযোগ কতটা সত্যি

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২০:০৯

চট্টগ্রামের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের সচিব অঞ্জন চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) আমাদের ওয়ার্ডের অফিসে এ ধরনের সেবা নিতে কেউ আসেনি এবং এ ধরনের কথা কাউকে বলা হয়নি।’

হিজাব পরা ছবি না থাকায় এক নারীর স্বজনকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে তা অস্বীকার করেছেন ওই ওয়ার্ড অফিসের কর্মীরা।

চট্টগ্রাম নগরীর ওই নারী মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) জন্মনিবন্ধনের জন্য ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাগজ নিয়ে যাওয়ার পর যারা ফরম জমা নিচ্ছিলেন, তারা বললেন, হিজাব ছাড়া ছবিতে নাকি কমিশনার সাইন করেন না। ছবিটা সুন্দর না এবং শালীন না। কে হিজাব পরবে কে পরবে না এটা তো একটা ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার। ছবি শালীন না তাই ছবি দাগিয়ে দেয়া এসব অভ্যাসগত অধিকার কোথা থেকে এরা পায়? এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়া যায়?

তার এই পোস্ট ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই নারীর ফেসবুক ওয়ালে পোস্টটি আর দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলা ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেন। তিনি জানান, সরাসরি হেনস্তার ঘটনাটি ঘটে তার ভাইয়ের সঙ্গে। ছোট ভাই তার ছবিটি নিয়ে ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি দুর্ব্যবহারের শিকার হন।

তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার হেনস্তার শিকার হয়েছি। তবে বিষয়টি আরও বড় হোক সেটি আমি চাই না।’

এ বিষয়ে জানতে রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেয়া হলে লিটন জানান, তিনি এখন দুবাইয়ে আছেন।

২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের সচিব অঞ্জন চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) আমাদের ওয়ার্ডের অফিসে এ ধরনের সেবা নিতে কেউ আসেনি এবং এ ধরনের কথা কাউকে বলা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘রামপুর ওয়ার্ড অফিসের জন্মনিবন্ধন সহকারী সুমন গুপ্ত আমার পাশেই বসেন। তিনি আজ এ ধরনের কথা কাউকে বলেননি। তিনি সব কাজ আমার কাছে পরামর্শ নিয়ে করেন। কারও ছবি দাগিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেনি।’

বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে রামপুর ওয়ার্ড অফিসের জন্মনিবন্ধন সহকারী সুমন গুপ্তকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর