চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২৬১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়তে নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের মুলতবি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এতে বলা হয়ে, প্রার্থী চূড়ান্ত করার মধ্যে রয়েছে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ১৭টি; সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১৬টি; মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলার ২৩টি এবং হবিগঞ্জের সদর ও নবীগঞ্জ উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ।
পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর উপজেলার ৩৩টি, কুমিল্লা হোমনা, দাউদকান্দি ও বরুড়া উপজেলার ৩০টি; চাঁদপুরের উত্তর ও দক্ষিণ মতলব উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ।
ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইল উপজেলার আটটি, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছয়টি, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার মধ্যে আরও রয়েছে চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ। আর কক্সবাজারে চূড়ান্ত হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে।
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা ও মহালছড়ি উপজেলার সাতটি, রাঙামাটির রাজস্থলী ও কাউখালী উপজেলার সাতটি এবং বান্দরবানের আলীকদম ও রুমা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদেও নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সারা দেশে এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে ও ১০টি পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ নভেম্বর।
১৪ অক্টোবর নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের ৮৭তম বৈঠকে ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়।
২ নভেম্বর এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মনোনয়ন দাখিল হবে। বাছাইয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছে ৪ নভেম্বর। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে সময় থাকবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রথম ধাপে ৩৬৯টি ইউপিতে ভোট নিচ্ছে ইসি। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপিতে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট হবে।
দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউপিতে নির্বাচন হবে। বাকিগুলো মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে রয়েছে।