বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে এসপিকে ফোন, ধরা প্রতারক

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ২০:৫০

ডিবি পুলিশের ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

ময়মনসিংহে কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি।

জেলা ডিবি কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ছাবিল্লাহপুর গ্রামের সামিউল আলম, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন ও মুক্তাগাছা উপজেলার খেরয়াজানী ইউনিয়নের রহিমবাড়ি গ্রামের মারুফ মিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নম্বরে কল করেন সামিউল আলম। তখন নিজেকে সরকারের অতিরিক্ত সচিব বলে পরিচয় দিয়ে তার পছন্দের ৩ জন প্রার্থীকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি দেয়ার জন্য বলেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।

ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, অনুসন্ধানে সামিউল প্রতারক বলে চিহ্নিত হয়। তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সিমসহ ফোনটি জব্দ করা হয়।

সামিউলের দেয়া তথ্যে জালাল উদ্দিনকেও তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

জালালের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তার গ্রামের কামরুল হাসান ও আব্দুল কাদিরও জড়িত আছে। কামরুল ফোনে প্রার্থীদের সঙ্গে ডিআইজি পরিচয়ে কথা বলেন। আব্দুল কাদির টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরি দিতে পারেন বলে ৫ জন প্রার্থী সংগ্রহ করেন।

প্রার্থীদের জালাল ঢাকার উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। তখন জালাল ও কামরুল ইসলাম প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে বুকিং মানি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে আত্মসাৎ করেন।

এদিকে আটক মারুফ মিয়া ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর অনলাইনে আবেদন করলে স্ক্রিনিংয়ে বাতিল হন।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে নিয়োগ বোর্ডের সামনে ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে হাজির হন। তখন নিয়োগকারী বোর্ড মারুফ মিয়ার প্রবেশপত্রটি ভুয়া বলে নিশ্চিত হয়।

মারুফ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি মুক্তাগাছায় একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে ভুয়া প্রবেশপত্রটি তৈরি করেছিলেন।

এরপর মুক্তাগাছার কাঠগড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামকে ধরতে অভিযান চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ভুয়া প্রবেশপত্র তৈরি কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারটি জব্দ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রত্যারক চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর