ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি’-এর ২৫তম আসর ‘ডব্লিউসিআইটি-২০২১’।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন আগামী ১১-১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যুক্ত হওয়া যাবে।
এ উপলক্ষ্য মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি- বিসিএসের সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর। ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সর (উইটসা) সেক্রেটারি জেনারেল জেমস এইচ পয়সান্ট অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘প্রধান হাত ধরে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে ১২ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। ১৯ মাসে করোনাভাইরাস মহামারিতে আমরা কিছুই চলমান রাখতে পারতাম না, যদি না দেশ ডিজিটাল হত। এ সময় আইসিটির কল্যাণেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং বিচারিক কাজ চলমান ছিল। বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতির দেশ থেকে একটি প্রযুক্তি ও মেধানির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে আইসিটিকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছি।’
প্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ডব্লিউসিআইটি এবার বাংলাদেশ আয়োজন করছে। যার প্রতিপাদ্য ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ বা প্রযুক্তির মাধ্যমেই সব খাতে সমতা আনা।
পলক বলেন, ‘সরকার তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে। যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে। এতে ১২ বছর আগে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ তা এখন ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।’
উইটসার উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি।
এবারের ‘ডব্লিউসিআইটি-২০২১’ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ‘ডিজিটাল সামিট ২০২১’। এগুলো সরাসরি ও ভার্চুয়ালি হবে।
যা থাকছে চার দিনের আয়োজনে
৪ দিনব্যাপী সম্মেলনে থাকছে ২৩টি সেমিনার, মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন।
অনলাইনে নিবন্ধিন করে সেমিনারগুলোতে অংশ নেয়া যাবে। ১১ নভেম্বর মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
আয়োজনের প্রথম দিন থাকবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট’। ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইটে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
১২ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করা হবে।
এ দিন ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, অর্জন-গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এ দিন ‘উইটজা আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে ডব্লিউসিআইটির রজতজয়ন্তী উদযাপিত হবে।
৪ দিনব্যাপী এ বিশ্ব সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।