রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর ভাঙনে তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভাঙন শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে ১০০ মিটার ভেঙে যায়।
তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। স্থানীয়রা অন্য জায়গায় সরে যাচ্ছেন।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাকসুদা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এত কাছে চলে এসেছে যে আমাদের বসতভিটাও নদীতে চলে যাচ্ছে। আমাদের আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।’
একই এলাকার রাসেল শেখ বলেন, ‘আমরা আতঙ্কে আছি কখন শহর রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থায়ী কোনো কাজ না হওয়ায় এ অবস্থা।’
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বেড ম্যাটেরিয়াল সরে গিয়ে ওপরের সিসি ব্লকগুলো দেবে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনকবলিত স্থানে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৫ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়েছে ৯ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আছে সদর উপজেলা থেকে গোয়ালন্দ উপজেলা পর্যন্ত ৮ হাজার হেক্টর, সদর থেকে কালুখালী পর্যন্ত ২৬০ হেক্টর, কালুখালী থেকে পাংশা উপজেলা পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি।
২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে তিনটি প্রকল্পে ৫৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে।