মাঠের চারপাশে জ্বলছে হাজার পাওয়ারের বাল্ব। তারপরও রাতে চুরি হচ্ছে মানিকগঞ্জ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের দেয়ালের গ্রিল।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চুরির বিষয়ে পুলিশকে জানানোর পরেও হচ্ছে চুরি। তবে এ বিষয়ে দায়সারা কথা বলছে থানা পুলিশ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ভেতরের একমাত্র খেলার মাঠ রক্ষায় ২০০৮ সালে মাঠের চারপাশে দেয়াল নির্মাণ করা হয়। দেয়ালের ওপর দিয়ে কেউ যেন মাঠে ঢুকতে না পারে সে জন্য দেয়ালের ওপরে লাগানো হয় লোহার গ্রিল।
মাঠে প্রবেশের জন্য লাগানো হয়েছে বেশ কয়েকটি লোহার গেট। মানুষের যাতায়াত বন্ধে অধিকাংশ গেটে তালা দেয়া থাকে। কিন্তু গত এক মাস ধরে রাতের বেলায় চুরি হয়ে যাচ্ছে গ্রিলগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের চারপাশের দেয়ালের ওপরে লাগানো লোহার গ্রিলগুলো নেই। এরই মধ্যে ৪৫টি গ্রিল চুরি হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে পশ্চিম পাশের দেয়ালের অংশে।
সদরের জাগীর এলাকার শমসের আলী বলেন, ‘শহরের ভেতরে স্কুলের খেলার মাঠ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মানুষ থাকে। রাতেও হাঁটাহাঁটি করে মানুষ। এর মধ্যে গ্রিল চুরি যাওয়া কেমন কথা। চুরির ঘটনা শুনে আমিও অবাক হয়ে গেছি।’
পৌর এলাকার ফজলুল হক বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মানুষের মুখে শুনছি। তারপর নিজে দেখলাম। প্রশাসনের সবাই জানেন, তারপরেও কেমনে চুরি হয়।’
মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী মাকসুদা ইয়াসমিন বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন। গত ৭ অক্টোবর বিষয়টি লিখিতভাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশকেও চুরির বিষয়টি জানানো হয়েছে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শুক্লা সরকার বলেন, ‘শিক্ষকরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। চুরি বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা ও চুরির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য সদর থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। ওসিকে জানানো হয়েছে তাও প্রায় ১৯ দিনের মতো হবে।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, চুরির ঘটনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর আছে ও কাজ করছে।
পুলিশকে জানানোর পরও চুরি হচ্ছে কীভাবে এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দিতে পারেনি তিনি।