খুলনার কয়রা উপজেলায় দিনমজুর হাবিবুরকে পরিচিত কেউ কোনো কারণে পরিবারসহ হত্যা করতে পারে বলে জানিয়েছেন তার ভাই মনির হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলার প্রতিবেদককে মনির বলেন, ‘আমার ভাই হাবিবুর পেশায় দিনমজুর। তার কোনো শত্রু থাকার কথা না। আমাদের পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়েও কোনো দ্বন্দ্ব নেই। পরিবারসহ আমার ভাইকে কেন হত্যা করা হয়েছে জানি না। তবে আমাদের পরিচিত লোকই সম্ভবত তাদের হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই জাতীয় পার্টির সমর্থক ছিল। তবে সেভাবে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। পরিচিত লোক হাবিবুরকে যেকোনো কারণে হত্যা করে। ওই সময় তার স্ত্রী ও মেয়ে দেখে ফেলায় হয়তো সবাইকে একসঙ্গে হত্যা করা হতে পারে।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি বাড়ির পুকুর থেকে দিনমজুর হাবিবুর, তার স্ত্রী বিউটি ও মেয়ে হাবিবা টুনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাৎ হোসেন জানান, সকালে পুকুরে তিনজনের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে থানায় জানায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ জানান, দিনমজুর হাবিবুরের মেয়ে টুনি স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। তিনজনেরই মুখে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে তাদের হত্যা করে গুম করার জন্য মরদেহ পুকুরে ফেলা হয়।
বাগালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোস্তফা বলেন, ‘হাবিবুরের পা বাঁধা ছিল। তার মেয়ের মাথায় যেভাবে কোপ দেয়া হয়েছে এমনটা কোনো মানুষ কাঠেও আঘাত করে না।’
পুলিশ পরিদর্শক শাহাদাৎ জানান, মামলার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নিহতদের পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।