চট্টগ্রামের এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের আরাকান সড়কমুখী র্যাম্পের পিলারে ফাটলের ঘটনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) দুষছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভারের মূল নকশায় র্যাম্পের অস্তিত্ব ছিল না। সিডিএ এটা যুক্ত করেছে। তাই তারা ত্রুটি বের করে ব্যবস্থা নেবে।’
ফ্লাইওভারের ফাটলস্থল পরিদর্শন করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এসব জানান রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ করেছে সিডিএ। ফাটলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আজকেই তাদের চিঠি দেব। কারণ যেকোনো সময় এখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
ফাটলের ঘটনা তদন্তে সিটি করপোরেশন সহযোগিতা করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘যেসব ঠিকাদার এখানে কাজ করেছেন তাদের ত্রুটি আছে কি না, তা খুঁজে বের করবে সিডিএ। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লাইওভারে র্যাম্পে ফাটলের বিষয়টি শুনেছি। ফ্লাইওভারটা আগের চেয়ারম্যানের সময় তৈরি করা হয়েছিল। তাই এ বিষয়ে কথা বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে আমাদের লোক আছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের একটি মিটিংয়ে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছি। চট্টগ্রামে ফিরে পিলারগুলো পরীক্ষা করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
ফাটলের কারণে চট্টগ্রামের এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের আরাকান সড়কমুখী র্যাম্পে সোমবার রাত ১০টা থেকে যান চলাচল বন্ধ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফ্লাইওভারের দুই পাশের সড়কে দেখা গেছে যানবাহনের তীব্র চাপ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রকল্প ম্যানেজারের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই ওই র্যাম্পে যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা করি। এতে মুরাদপুরমুখী ও আরাকান সড়কমুখী গাড়িগুলো ফ্লাইওভারে উঠতে পারছে না।’
ফ্লাইওভারের যে পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে তার কাছাকাছি ফুটপাতে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন নির্মল গুরাইয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই পিলারে ফাটল আসলে অনেক দিন ধরেই ছিল। তবে গতকাল ফাটলটা কিছুটা বেড়ে গেছে।’
ফুটপাতে মাস্ক বিক্রেতা মো. মাসুদ বলেন, ‘আমি ৩ মাস আগে থেকে এই পিলারে ফাটল দেখতেছি। তবে গতকাল ফাটলটা বেড়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।’
বহদ্দারহাটের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রাইভেট কারে করে ফ্লাইওভার হয়ে কালামিয়া বাজারে কর্মস্থলে যাই। কিন্তু আজকে তো দেখতেই পাচ্ছেন, পুরা রোড জ্যাম।’