বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের পতন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে: ফখরুল

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৫০

ফখরুল বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই, যারা খুন হয়েছে তার বিচার চাই। আওয়ামী লীগকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আজ আওয়ামী লীগের পতন জনগণের দাবীতে পরিণত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের পতন জনগণের দাবীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পিক-আপ ভ্যানে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় দেশের বেশ কিছু মণ্ডপ, মন্দির, বাড়িঘরে হামলা হয়। এসব হামলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

মিছিলের আগে বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে র‍্যালি করে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত যাব। সকাল থেকে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর এখানে একসঙ্গে বাস করছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখন তারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার উপর হামলা করে।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। আমাদের সভা সমাবেশ করতে দেয় না। এসব করছে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে।’

ফখরুল বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই, যারা খুন হয়েছে তার বিচার চাই। আওয়ামী লীগকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আজ আওয়ামী লীগের পতন জনগণের দাবীতে পরিণত হয়েছে।’

এ সময় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের লড়াই হবে।’

সরকার পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে খুন করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর।

বেলা ১১টায় মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও ১০টার আগ থেকে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশের কড়া প্রহরার কারণে তারা সামনে আসতে পারেননি।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাকরাইল মোড় থেকে বড় একটি মিছিল নয়াপল্টন অভিমুখে আসলে পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যায়। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসলে কার্যালয়ের সামনে লোকারণ্য হয়ে যায়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে গোটা এলাকা প্রকম্পিত করে তুলে। ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, দিতে হবে, দিয়ে দাও; লাল সবুজের পতাকায় জিয়া তোমায় দেখা যায়; জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জালো’, এমন সব স্লোগান দিতে থাকে।

নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি শেষ করে কাকরাইল মোড়ের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লা আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর