কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ পায় পুলিশ। পরদিন পত্রিকায় ছবি প্রকাশ হলে সেটি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বলে শনাক্ত করেন তার এক আত্মীয়।
সে ঘটনায় করা মামলায় দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ দিয়েছে আদালত।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি করা হয়।
মঙ্গলবার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী রায়ের নতুন তারিখ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মামলাটির রায় আজ ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ রায় স্থগিত করে পুনরায় যুক্তিতর্কের আবেদন করা হয়। আদালত সে আবেদন গ্রহণ করেছে। আজই রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তিতর্ক শেষ করতে বলেছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ বিকেলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করলেও আগামী ১৫ নভেম্বর আদালত মামলার রায় ঘোষণা করবেন।’
মডেল তিন্নির লাশ পাওয়ার পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী সরদার।
পরে লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি মডেল তিন্নির বলে শনাক্ত করেন। পরে মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে দেয়া হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক।
সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।