পাবজিসহ বিভিন্ন অনলাইন গেমস বন্ধের নির্দেশের পর ফ্রি ফায়ারের পক্ষে আইনি লড়াই করতে গেমসটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গারেনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষভুক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। ফলে গারেনা বাংলাদেশে ফ্রি ফায়ারের পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
আদালতে গারেনার পক্ষে ছিলেন জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও তানভীর কাদের। অন্যদিকে এসব গেমস বন্ধে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার।
পরে হুমায়ন কবির পল্লব নিউজবাংলাকে বলেন, আদালত তাদের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে তারা আর ফ্রি ফায়ারের পক্ষে এ দেশে আইনি লড়াই করতে পারবে না।
দেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ক্ষতিকারক সব গেম অবিলম্বে বন্ধ করতে গত ১৬ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এরপর ২৫ আগস্ট এসব গেমস বন্ধের খবর আসে। এর মধ্যে এ বিষয়ে আইনি লড়াই করতে উচ্চ আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করে গেমসটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের গারেনা অনলাইন প্রাইভেট লিমিটেড।
গত ১০ অক্টোবর তাদের আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য ছিল। আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে গত ২৪ জুন রিট করা হয়।
রিটকারীদের দাবি, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো গেমগুলোতে দেশের যুবসমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেম যেন যুবসমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণ দেয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে টিকটক, লাইকি অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেশের শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে অনৈতিক বিনোদন ও যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নারী পাচারের ঘটনা এবং বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে অর্থ পাচারও টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে চলছে, যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং দেশ ও জনস্বার্থ পরিপন্থি, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, মূল্যবোধ পরিপন্থি।