বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রামে ট্রিপল মার্ডার: সাজা পাল্টে ৮ আসামির যাবজ্জীবন

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:০৩

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে ২০০৩ সালের ২৬ মে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। যেখানে দিবালোকে তিনজনকে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এরপর মামলাটি হাইকোর্টে এলে সবাইকে খালাস দিয়ে দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ২০০৩ সালে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ।

রায়ে বিচারিক আদলতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির সাজা পাল্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আট আসামির মধ্যে তিনজনের সাজা বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফ উজ জামান খান, শিরিন আফরোজ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, চট্টগ্রাম হাটাহাজারীতে ২০০৩ সালের ২৬ মে একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। যেখানে দিবালোকে তিনজনকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এরপর মামলাটি হাইকোর্টে এলে সবাইকে খালাস দিয়ে দেয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ওই আপিলে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজকে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছে। রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আর বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তিনজনের সাজা বহাল রেখেছে আদালত।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় ২০০৩ সালে দিবালোকে সন্ত্রাসীরা আবুল কাশেম, আবুল বশর ও বাদশা আলম নামে তিন সহোদরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাজী মফজল মাস্টার ওই সময় ২২ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিচার চলাকালীন ১ জন মারা গেলে আদালত বাকি ২১ জন থেকে পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, আটজনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২ বছর কারাদণ্ড দেয় চট্টগ্রাম আদালত। বাকি আটজনকে খালাস দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর