রাজারবাগের পির দিল্লুর রহমান ও তার দরবারের সম্পত্তির উৎস খুঁজতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ইমান আলীসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মামলার একজন বিবাদী মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এই আপিল করেন।
আদালতে মফিজুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শিশির মনির।
আদেশের পরে আইনজীবী শিশির মনির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তাদের সম্পত্তির উৎস খোঁজার তদন্ত চলবে।
একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে রাজারবাগের পির ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে ৮ ভুক্তভোগী হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়।
রুলে আবেদনকারিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ক্রমাগত ফৌজদারি মামলা দায়েরে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল করে আদালত। সেই সঙ্গে এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদেশে রাজারবাগের কথিত পির দিল্লুর রহমান ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয় করে সম্পদের উৎস সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পীর ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় উলামা আঞ্জুমান বাইয়িন্যাত অথবা ভিন্ন কোনো নামে কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কিনা, সে বিষয়ে ৩০ নভেম্বরের আগে একটি প্রতিবেদন দিতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হয়।
হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল যায় মফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়।