বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটনে প্রণোদনা ঋণ, আবেদন যেভাবে

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ২২:১৬

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের জন্য ১ নভেম্বর থেকে আবেদন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। আবেদন করা যাবে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।  

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্প। এ শিল্পে চলতি মূলধনের জোগান দিতে ১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে পর্যটন খাতে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে ৪ শতাংশ সুদে উদ্যোক্তাদের এক বছর মেয়াদি ঋণ দেয়া হবে।

ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ তহবিল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে জোগান দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি ৫০ শতাংশ অর্থ ব্যাংক তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে।

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের জন্য ১ নভেম্বর থেকে আবেদন করতে পারবে ব্যাংকগুলো। আবেদন করা যাবে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, ‘ঋণ সুবিধা ভোগকারী পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে (হোটেল, মোটেল, থিম পার্ক) বর্তমানে কর্মরত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিতে বিদ্যমান ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা বাবদ মঞ্জুর করা বা প্রদত্ত সীমার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এবং এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত যে সব প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ব্যাংক হতে ঋণ সুবিধা ভোগ করছে না সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা বাবদ সম্ভাব্য ঋণ প্রাপ্যতার সীমার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।’

পুনঃঅর্থায়নের জন্য ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ অক্টোবর সময়ের মধ্যে অফ-সাইট সুপারভিশন বরাবর আবেদন করতে হবে।

ইচ্ছুক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণমূলক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় চাওয়া হয়েছে মর্মে প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করতে হবে।

প্রতিটি গ্রাহকের (পুরাতন/নতুন) ঋণ সীমা (বিদ্যমান ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধার অথবা প্রাপ্যতার পরিমাণের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ) নির্ধারণ সংক্রান্ত হিসাবায়ন নির্ধারিত ছকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক সংরক্ষণ করতে হবে।

শর্তসাপেক্ষে এককালীন বা কিস্তিতে ঋণ নেয়া যাবে না।

বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে এককালীন অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্র

যে তারিখ বা মাস হতে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া আছে তার অব্যবহিত পূর্বের ৩ মাসের বেতনের গড় পরিমাণকে ভিত্তি ধরে হিসাব সম্পন্ন করতে হবে।

কর্মরত-কর্মচারীদের প্রকৃত সংখ্যা অনুসারে পরিশোধযোগ্য বেতনের পরিমাণ হিসাব করতে হবে।

প্রতি মাসের জন্য হিসাবায়িত বেতনের পরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নির্ধারিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৩০%) পর্যন্ত এককালীন বিতরণ করা যাবে। বিতরণকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহ তালিকা অনুসারে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব আকলন করতে হবে। অর্থ প্রেরণের প্রমাণপত্র সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সংরক্ষণ করবে।

এসব প্রমাণপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের চাহিদা মোতাবেক প্রদর্শন করতে হবে বা নির্দেশিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।

গ্রাহক ঋণ গ্রহণের এক বছরের মধ্যে যে কোনো সময় সম্পূর্ণ বা আংশিক আসল পরিশোধ করলে পরিশোধিত অর্থ ফেরত প্রদানের ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।

কিস্তিতে অর্থ বরাদ্দ যেভাবে

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংক প্রকৃত চাহিদার পরিমাণ হিসাবায়নপূর্বক ঋণ বিতরণ করবে এবং বিতরণ করা অর্থের সদ্ব্যবহার যাচাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের জন্য আবেদন করবে।

প্রণোদনা প্যাকেজের সময়ের আওতায় প্রতি মাসের বেতন দেয়ার ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের জন্য গ্রাহক ঋণ গ্রহণের তারিখ হতে এক বছর সময় পাবেন।

ঋণের মোট সুদের হার হবে ৮ শতাংশ। এর মধ্যে উদ্যোক্তাকে দিতে হবে ৪ শতাংশ। সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে ৪ শতাংশ। প্রণোদনার আওতায় উদ্যোক্তারা এক বছর এ ঋণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আবেদনে লাগবে যেসব দলিলা

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা চাওয়া হয়েছে মর্মে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্তৃক স্বাক্ষর করা প্রত্যয়ন পত্র প্রয়োজন হবে।

গ্রাহকের (পুরাতন/নতুন) অনুকূলে ঋণের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত হিসাবায়ন ছক।

ঋণ প্রদানের মঞ্জুরিপত্র।

গ্রাহকের ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব বিবরণী।

প্রাপ্যতা অনুযায়ী সম্পূর্ণ আসলসহ সম্ভাব্য সুদের পরিমাণ।

এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগে জমা দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর