বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশি নিরাপত্তার ভূয়সী প্রশংসায় বিদেশি কূটনীতিকরা

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২৯

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় পুলিশ যেভাবে কাজ করছে তার জন্য ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। নিরাপত্তার জন্য দিন-রাত কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি পুলিশ কোভিড-১৯ মহামারির সময় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের জন্য নেয়া বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশংসা পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ।

ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার নিরাপত্তা সমন্বয় সভা হয়। সেখানে উপস্থিত কূটনীতিকরা পুলিশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কনসাল জেনারেল এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সভায় বলেন, ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। তা শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। সন্ত্রাসবাদ কোনো ধর্ম, জাতি, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, নৃগোষ্ঠী বা সমাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

‘সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।’

পুলিশের নানা প্রচেষ্টার তথ্য তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ ইউনিটে ৩ শতাধিক বিসিএস ক্যাডারসহ ৩২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। ডিএমপির বিশেষায়িত ইউনিটের মধ্যে সাইবার ইউনিট, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, সাইবার সিকিউরিটি টিম, ওয়ান স্টপ পুলিশ সার্ভিস ভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করে যাচ্ছে।

‘কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় ২০১৩ সালে গঠন করা ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ৯৭৯ পুলিশ সদস্য নিয়ে কাজ করে চলেছে। তারা কূটনীতিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছেন। বিভিন্ন স্থাপনাসহ কূটনৈতিক এলাকার সার্বক্ষণিক ও সার্বিক নিরাপত্তায় সজাগ এ বিভাগ।’

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় পুলিশ যেভাবে কাজ করছে তার জন্য ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করছে নিরাপত্তার জন্য। তাছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারির সময় তারা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি আইটিও প্রশংসা করেন পুলিশের কাজের। কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ গঠনসহ ডিএমপি দৃঢ় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সভায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘২০১৬ সালের হলিআর্টিজান হামলার পর ঢাকায় পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে। সে মোতাবেক সকল ইউনিট সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করায় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর ঘটেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর