মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন কিছু পর্যবেক্ষণসহ অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সোমবার বিকেলে পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এ সময় সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি প্রণয়নের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন পরিবেশমন্ত্রী।
সাফারি পার্কটি নির্মাণ করা হলে, এটি হবে বঙ্গবন্ধুর নামে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক।
সভায় পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সাফারি পার্কের প্রস্তাবিত এলাকায় অনেক জায়গা অবৈধ দখলে চলে গিয়েছে। এখানে সাফারি পার্ক নির্মিত হলে আর কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে পারবে না, তখন এখানকার পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।
‘বর্তমানে প্রস্তাবিত লাঠিটিলার জড়িছড়া ও লালছড়া গ্রামের ২৭০ একর সাফারি পার্ক এলাকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী ৩৭টি পরিবারকে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
দেশের প্রথম সাফারি পার্ক তৈরি করা হয় ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের চকরিয়ায়; নাম ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক।
দেশের দ্বিতীয় সাফারি পার্ক তৈরি করা হয় ২০১১ সালে, গাজীপুরের শ্রীপুরে। পার্কের নাম রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক।