বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন ইনুর

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫৪

ইনু বলেন, ‘জামায়াত দেশে বারবার সশস্ত্র ও জঙ্গিবাদী আক্রমণ চালিয়েছে। এরপরেও জামায়াতকে কেন এখনও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে কেন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেছেন, ‘জামায়াত দেশে বারবার সশস্ত্র ও জঙ্গিবাদী আক্রমণ চালিয়েছে। এরপরেও জামায়াতকে কেন এখনও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাসদ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস: রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ টেনে ইনু বলেন, ‘এ লড়াইটা আমাদের কারও একার লড়াই না। এটা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই।’

১৪ দলের আরেক শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘সরকারের এত শক্তি থাকতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্ন তো আসতেই পারে।’

সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেটের একজন হিন্দু ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে। এটার জন্য তো দেশের স্বাধীনতা আসেনি। আমি প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি সরকারের কাছে, উত্তর তো সরকারের কাছেই।’

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘শেখ হাসিনাই পারেন আমাদের ৭২-এর সংবিধানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। নাহলে আর কোনো দিন তা হবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগ চাইলেই এটা সম্ভব, না হলে সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সুফি মতবাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন, তাদের সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি নেয়ার সময় রাত ৮-৯টা পর্যন্ত লিখে দেয়া হয়। হেফাজতের কাউকে কিংবা জামায়াতের যে আলেমরা আছেন, তাদের তো এ অনুমতি নিতে হয় না। সারা রাত তারা মাহফিল করতে পারেন।’

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দর্শনে আক্রমণ করে জনগণের মধ্যে বিভক্তি নিয়ে আসতে চাইছে।’

৭২-এর সংবিধানের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক দর্শন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা দরকার বলে মত দেন তিনি।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এ বিভাগের আরো খবর