ফরিদপুর-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ আগামী বছর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শামিমুজ্জামান।
তিনি জানান, এ কাজের জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটনের যে অংশ অধিগ্রহণ করা হবে তা অবশ্যই বাইপাস সড়ক নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে করা হবে।
উপসচিব বলেন, ‘আমি এই এলাকার সন্তান। বরিশালে যাতে বাইপাস সড়ক হয় সেই লক্ষ্যে আমি ২-৩ বছর আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। নগরীর মধ্যে যদিও ভূমি অধিগ্রহণ একটি কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আশা করছি দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হলে আগামী বছর যে কোনো সময় সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’
নগরীর সড়ক ও জনপথ বরিশাল জোন অফিসে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহাসড়কের বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার অন্তর্ভুক্ত অংশের এলাইনমেন্ট নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভার সভাপতি এবং সড়ক ও জনপথ বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, ‘বরিশাল নগরবাসী সব সময় বাইপাস সড়কের পক্ষে ছিল। আমি বরিশাল সিটি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনিও আমাদের ভূমি অধিগ্রহণে সহায়তা করবেন।
‘যতদিন বাইপাস সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ না হয় ততদিন নগরীর রাস্তা যাতে কিছুটা প্রশস্ত করা যায় সে বিষয়েও আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।’
তারেক ইকবাল আরও বলেন, ‘সিটি মেয়রের সঙ্গে আলাপের সময় নগরীর রূপাতলী এলাকার ব্রিজ নিয়েও কথা হয়। এ সময় তাকে জানানো হয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ব্রিজের এলাকায় অতিরিক্ত জায়গা নেই। ফলে ব্রিজ বড় করা যাচ্ছে না। তিনি সহায়তা করলে ব্রিজের দু্ই পাশে আমরা স্ট্রিল ব্রিজ করে দেব। ফলে যানজট কমবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সওজ বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ, রোড ডিজাইন ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী বুলবুল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন সহ অনেক।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাশ হয়। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে নানা জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।