দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় সরকারদলীয় লোকজন জড়িত অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এতে বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল কুমিল্লাসহ কয়েকটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শনের পর বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, ‘স্পর্শকাতর সাম্প্রদায়িক সংহিংসতার মধ্য দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরাতে ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এমন কাজ করেছে সরকার। এর বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা লালন করে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার কোনো উদ্যোগ সরকারের নেই। বরং বিভিন্ন মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে হয়রানির এটা একটা নীলনকশা।’
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘মন্দিরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্ক কাটেনি। প্রশাসন গুরুত্ব না দেয়ায় ৬-৭ ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এখনো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সরকারের স্তুতির বিষয় উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এ সদস্য।
বাংলাদেশের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোট বাড়বে, এমন মন্তব্য করেছেন রাজ্যটির বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার এমন মন্তব্য সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদের পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন গয়েশ্বর।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন ।