বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরোয়ানার পরও আদালতে আনা হয়নি সম্রাটকে

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৫৬

কারান্তরীণ সম্রাটকে হাজিরে হাজতি পরোয়ানা থাকলেও তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তোলেনি কারা কর্তৃপক্ষ। আদালতকে তারা জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সম্রাটকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি ফের পিছিয়েছে।

কারান্তরীণ সম্রাটকে হাজিরে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) থাকলেও সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তোলেনি কারা কর্তৃপক্ষ। আদালতকে তারা জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সম্রাটকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

এদিন সম্রাটের উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগ গ্রহণের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্রাটকে আদালতে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

পরে আদালত আগামী ১০ জানুয়ারি সম্রাটের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানির দিন রাখে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন হাজতি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফা তাকে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

গ্রেপ্তারের পর বেশির ভাগ সময় হাসপাতালেই ছিলেন সম্রাট। ১১ মাস চিকিৎসা শেষে গত বছরের ৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে একবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঠানো হয়।

এর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়ার কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাগুলোও থমকে ছিল।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এদিন ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

অভিযোগ আছে, সম্রাট মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

মামলায় অভিযোগে আরও বলা হয়, সম্রাট অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে তার নামে-বেনামে ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছর ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিভাগের আরো খবর