মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর বিচার শিগগিরই প্রকাশ্য আদালতে শুরুর দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংস্থার প্রধান সানাউল হক।
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করব, আমরা যে পরিশ্রম করে রিপোর্টটি দিয়েছি, সেটা যথাযথ নিরীক্ষা করে অবিলম্বে বিচার শুরু করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়।’
২০১৪ সালের ২৫ মার্চ জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হলেও বিচার শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।
সানাউল জানান, প্রসিকিউশনকে বারবার তাগিদ দিয়েও তদন্ত প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘অর্গেনাইজেশনের শাস্তি কী হবে, এটার বিধান স্পষ্টভাবে না থাকাতে প্রসিকিউশন রিপোর্টটি চার্জ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করেননি। এমনটাই আমাদের জানিয়েছেন।
‘আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীর বিচারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বা আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা উচিত। সংগঠনের যখন বিচার হয়, এই সংগঠনের সেই সময়ে যে সমস্ত অঙ্গ সংগঠন বা যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিলেন, তাদের সবারই বিচার হয়। তাদের সবার ওপরই এই অপরাধের দায় চলে আসে।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক হামলা সমূলে উৎপাটন করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার শুরু হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য তার।
সানাউল বলেন, ‘আজকে আপনার দেখছেন যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। ধর্মান্ধতার সুযোগে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। একে সমূলে উৎপাটন করতে গেলে জামায়াতের স্বরূপ উদ্ঘাটন করার জন্য বিচারটি প্রকাশ্যে কোর্টে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’