কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বৌদ্ধ বিহারের পাশের চাকমাপল্লিতে হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা করেছেন আহত এক ব্যক্তি।
যতিন চাকমা নামে ওই ব্যক্তি রোববার মধ্যরাতে টেকনাফ থানায় এই মামলা করেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে তোফায়েল সম্রাট নামের এক যুবককে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা বলে এলাকায় পরিচিত। যদিও উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নামে কেউ কমিটিতে নেই।
টেকনাফের হোয়াইক্যংয় ইউনিয়নের ১ নম্বর কাটাখালী ওয়ার্ডের অরণ্য বৌদ্ধবিহারের পাশের ওই পল্লিতে হামলা হয়েছে রোববার সন্ধ্যায়। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী ও উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাকিল আহমদ।
তারা জানান, হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের শিগগিরি আইনের আওতায় আনা হবে।
ইউএনও পারভেজ জানান, এক চাকমা তরুণীকে উত্যক্তের ঘটনার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় চাকমাপল্লির ১২ জনসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই পল্লির এক তরুণীকে উত্যক্ত করতেন তোফায়েল ও তার সহযোগীরা। অরণ্য বৌদ্ধবিহারের কর্মকর্তা অন্তর চাকমা অভিযোগ করেন, এ নিয়ে সালিশ বসলে চাকমা যুবকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তোফায়েল ও তার ভাই কায়সারের। এরপর তোফায়েলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় চাকমাপল্লিতে।
এ বিষয়ে তোফায়েল সম্রাট জানান, বিচারে কথা-কাটাকাটির জেরে কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে চাকমাপল্লিতে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি মিথ্যা।
তোফায়েলের বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, যে তোফায়েলের কথা বলা হচ্ছে, তাকে আমি চিনি না। সে যে কমিটিতে রয়েছে সেটি অবৈধ। হোয়াইক্যংয়ে গ্রুপিং আছে। তোফায়েলসহ যাদের নাম এসেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।’