রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সহিংসতার ঘটনায় করা চার মামলায় ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে রোববার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র।
তারা হলেন ২৩ বছরের মো. মামুন ও ২৪ বছরের উমর ফারুক টনেট।
ওসি বলেন, তাদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা শিবির কর্মী বলে তথ্য আছে।
ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর রাতে পীরগঞ্জের রামনাথপুর উত্তরপাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের বাড়িঘর; দেয়া হয় আগুন। লুটপাতও করা হয় এসব বাড়িতে।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং একটি অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে।
এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ‘প্রধান অভিযুক্ত’ সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মণ্ডল ও তার সহযোগী বটেরহাট মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামকে আসামি করা হয়।
সৈকত ও তার সহযোগীর বিষয়ে শনিবার র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করেন বলে জানিয়েছেন।
সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ছাড়া তিনি ওই হামলা ও অগ্নিসংযোগে অংশগ্রহণে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন।
সৈকত মণ্ডলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ্ত শাহীন রোববার জানান, র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সৈকতকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সুদীপ্ত শাহীন জানান, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামকে আদালতে তোলা হলে তিনিও স্বেচ্ছায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতকে জানিয়েছেন।